বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সাতক্ষীরার উদ্যেগে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খুলনা ও সরেজমিন গবেষণা বিভাগ (বিএআরআই) খুলনার সহযোগীতায় গত ১২ এপ্রিল বেলা ১১টায় খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর মাঠে লবণাক্ততা সহনশীল ব্রি-ধান৬৭ এর ব্লক প্রদর্শনীর ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড.তমাল লতা আদিত্য এ মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সাতক্ষীরার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড.মো. ইব্রাহিম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,খুলনার উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল লতিফ, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ (বিএআরআই) খুলনার ইনচার্য ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মো. হারুনার রশীদ, কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বদিউজ্জামান, কয়রা উপজেলা কৃষি অফিসার এস এম মিজান মাহমুদ ও জেলা পরিষদ সদস্য মো. জহুরুল হক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড.তমাল লতা আদিত্য বলেন, প্রলয়ংকারী ঘুর্নিঝড় আইলার আঘাতের পর এ বছর অবধি কয়রার কৃষি র্নিভর এ অঞ্চলে কৃষি বলতে শুধুমাত্র আমন ধানকে বুঝায়। বছরের অন্যান্য সময় জমিগুলি অনাবাদি ও খাঁ খাঁ করে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সাতক্ষীরার উদ্যেগে এবং ডিএই খুলনার মাধ্যমে লবণাক্ততা সহনশীল ব্রি ধান৬৭ চাষাবাদের উপর ৬০ জন কৃষককে আধুনিক পদ্ধতিতে ধান উৎপাদনের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এতে মহারাজপুর এলাকার কৃষকগণ উদ্ভুদ্ধ হয়ে বোরো মৌসুমে ব্রি ধান ৬৭ ফলিয়ে এলাকায় রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি করে ফেলেছেন। কয়রা ও পাশ্ববর্তী দাকোপ উপজেলার কৃষকগণ অনেক দূর থেকে এসে এ ধান দেখে অভিভূত হয়েছেন। তিনি এ কাজে আন্তরিক সহযোগীতার জন্য এলাকার কৃতি সন্তান সরেজমিন গবেষণা বিভাগ (বিএআরআই) খুলনার ইনচার্য ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মোঃ হারুনার রশীদ ধন্যবাদ জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খুলনার উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল লতিফ বলেন, বোরো মৌসুমে লবনাক্ততার কারনে এ অঞ্চলে কখনো ধান চাষ করা সম্ভব হয়নি। লবণাক্ততা সহনশীল ব্রি ধান৬৭’র অবমুক্তির পর বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সাতক্ষীরার সহযোগীতায় এই প্রথম মহারাজপুরের এ মাঠে ৩৯ বিঘা জমিতে চাষ করে হেক্টর প্রতি ৬.১ মে.টন ফলন পাওয়া গেছে। তিনি পরবর্তী বছর এ মাঠসহ আশেপাশের এলাকায় ব্রি ধান৬৭ এর আবাদ আরো বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন। মহারাজপুর এলাকার ধান চাষী মতলেব হোসেন, জামাল উদ্দিন, ইদ্রিসুর রহমান, মিলন গাজী ও তৈয়েবুর রহমান জানান, মাঠের মধ্য থেকে বহমান ইজারাকৃত অর্জুনী খালটি উম্মুক্ত থাকলে পরবর্তী বছর মাঠের আরো অনেক বেশী জমিতে বোরো ধানের আবাদ বাড়বে। মাঠ দিবসে শতাধিক কৃষক/কৃষাণী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, প্রিন্ট ও ইলট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ, কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রতিনিধিসহ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং সরেজমিন গবেষণা বিভাগ (বিএআরআই)’র কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।